শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে বিদ্যমান উত্তেজনার মাঝেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপে কোনো যুদ্ধ চায় না রাশিয়া। একইসঙ্গে পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্রটির সঙ্গে সামরিক জোট ন্যাটোর সম্পর্ক নিয়ে মস্কোর যে দাবি রয়েছে, তা এখনই সমাধান করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সংখ্যক সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন এসব কথা বলেন।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন যাবৎই সেনাবাহিনীর প্রায় এক লাখ সদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র রাশিয়া। এর মধ্যে শক্তিশালী ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে মস্কো। রুশ সৈন্যরা যে কোনো মুহূর্তে দেশটিতে আক্রমণ চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে এখনই হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে মস্কো।
যদিও ওয়াশিংটন বলছে, ইউক্রেনে যে কোনো মুহূর্তে আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। একই আশঙ্কা প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্ররাও। এমনকি আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হামলাটি হতে পারে বলেই আগে থেকে ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। যদিও নির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানায় জো বাইডেন প্রশাসন।
সংকটময় এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সংখ্যক সৈন্য সামরিক ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, দায়িত্বপালন শেষে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন সামরিক জেলার অধীনস্থ ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে রেল ও সড়ক পরিবহনগুলোতে আসন গ্রহণ করতে শুরু করছে এবং আজই তারা সামরিক ঘাঁটিতে ফিরে যাবে।
এছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীও জানিয়েছেন, সীমান্তে সামরিক মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর একাংশকে সামরিক ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর রাশিয়া সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর সদস্য করা হবে না বলে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাশিয়াকে জানানো হয়েছে। যদিও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এটি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কোনো নিশ্চয়তা নয়।
পুতিনের দাবি, আমাদের এখনই বিষয়টির সমাধান করা উচিৎ… এবং আমরা আশা করি (রাশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে) আমাদের যে উদ্বেগ রয়েছে সেটিকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হবে।